December 22, 2024, 7:27 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া টাকা ফেরত পথে এই দুটি দেশ ব্যাপক অসহযোগীতা করতে মুরু করেছে। দেশ দুটি হলো চীন ও শ্রীলংকা। ঘটনার সাথে জড়িত মোট ৭৬ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের যাদের নাম পাওয়া যায় তার মধ্যে চীন, শ্রীলঙ্কা, ভারত, ফিলিপাইন ও জাপান রয়েছে। অনেক পরে এসে সব দেশ থেকে সহযোগিতা করলেও চীন ও শ্রীলঙ্কা কিছুই করছে না।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্র“য়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশের রক্ষিত ১০ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ ডলার চুরি হয়। এখন পর্যন্ত চুরি যাওয়া অর্থের এক কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার ফেরত আনা গেছে।
বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টে মামলা করে। কিন্তু সেই মামলা টেকেনি। তবে ওই ঘটনায় অর্থ ফেরত ও জড়িতদের শাস্তির জন্য স্টেট কোর্টে তিনটি মামলা হয়, যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি করা অর্থ ফিলিপাইনের মাকাতি শহরে রিজাল ব্যাংকের চারটি অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেয় অপরাধীরা।
বিভিন্ন সূত্র বলছে রিজার্ভ চুরির পুরো টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানায়, অর্থ ফেরতের বিষয়টি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এই মামলা জেতার পরে আরও দুটি মামলা আছে। অনেকগুলো ধাপ পেরিয়ে ফাইনাল রেজাল্ট হয়। কিন্তু বাংলাদেশ একটি পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা করা গেলে তাদের চাপ দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত আনতে পারা যাবে। সর্বশেষ আদালতে যেই রায় হয়েছে সেখানে কোর্টের অবজারভেশন হলো, এটার সঙ্গে ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) জড়িত।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মালিবাগ সিআইডি সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে। তবে ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুই দেশের তদন্ত রিপোর্ট এখনও পায়নি সিআইডি। এজন্য মামলার চূড়াান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে অপেক্ষায় তারা। ওই দুই দেশের অপিনিয়ন আসলেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তবে টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে কিছুই বললেনি মন্ত্রী।
Leave a Reply